জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল: নড়াইলের কালিয়ায় খাৎনা অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১৩ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।
এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার বুড়িখালি গ্রামে ওই ঘটনার ছয় দিন পর জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন যুবকের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার এবং ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বুড়িখালি গ্রামের গোলাম রসুল শেখের ছেলে নূর মহম্মাদ শেখ (১৯) ও লাভলু মোল্যার ছেলে আশিক মোল্যা (২০)।
এর আগে গত ২৮ মে রাতে ওই মাদ্রাসাছাত্রী আত্মীয়ের বাড়িতে এক অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ মে রাত ১১টার দিকে আত্মীয়ের বাড়িতে সুন্নাতে খৎনার অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় নূর মহম্মাদ শেখ, আশিক মোল্যা ও কালু গাজী। এরপর তাকে পার্শ্ববর্তী নবগঙ্গা নদীর পাড়ে নিয়ে তারা ধর্ষণ করে এবং তা মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। প্রথমে স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়।
পরে অভিযুক্ত নূর মহম্মাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ধর্ষণের ছবি ছড়িয়ে দিলে ঘটনাটি ব্যাপক জানাজানি হয়। এ ঘটনা জানতে পেরে কালিয়া থানা পুলিশ বৃহস্পতিরার রাতে বুড়িখালি গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে ওই তিন যুবককে আসামি করে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত অপর আসামি পলাতক রয়েছে।
কালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রতনুজ্জামান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের নড়াইল আদালতে ও ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর মামলার অন্য আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।